বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
‘গুম খুনের মাস্টার মাইন্ড হাসিনা ও তারেক সিদ্দিকীর সহযোগী আবদুস সালাম’ নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় বাতিঘর সংগঠনের দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ সৈকতে নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারন, কন্টেন্ট ক্রিয়টরের ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড সাড়ে চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় ১২ গ্রামের ফসলহানির শঙ্কা কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে বিশ্বকর্মা পূজা উদযাপিত কলাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ভুয়া ডাক্তারকে এক মাসের কারাদণ্ড গ্লোবাল উইক অব ক্লাইমেট একশনস’র মানববন্ধন ও সভা কুয়াকাটায় অজ্ঞাত ব্যাক্তির অ/র্ধ/গ/লি/ত ম/র/দে/হ উদ্ধার কাশীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বরগুনায় লজিক প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত সবুজ ছাতিম রোপণের মধ্যে দিয়ে পটুয়াখালীর নতুন ডিসির যাত্রা একাদশ শ্রেণীর ২০২৫-২৬ শিক্ষার্থীদের নবীন বরন অনুষ্ঠিত দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আগ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক দল রাজপথ ছাড়বেনা কুয়াকাটা পৌর জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের  কমিটি গঠন
কলাপাড়ায় মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

কলাপাড়ায় মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

Sharing is caring!

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের এবং মামলার সাক্ষী হওয়ায় জালাল মিয়া (৫০) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দিয়েছে তার বোন জামাইয়ের প্রতিপক্ষরা।

এসময় দেশীয় অস্র দিয়ে কুপিয়ে তার ডান হাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

রবিবার রাত নয়টায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের বিছানায় কাঁদো  কাঁদো কন্ঠে জালাল মিয়া বলেন, আমি ২০১২ সালে আমার বড় বোনের জামাই গফফার মোল্লার কাছে নবীপুর মৌজার ১১৫ নং খতিয়ানের এসএ ১২৫৩/১২৫৬ দাগের ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করি।

এছাড়া সেখানে আমার বোনের জামাই আরও কয়েকজন মালিকের কাছ থেকে সর্বমোট ১৪৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমার বোন জামাইকে এসব জমির ভোগ দখলে বাঁধা দিয়ে আসছে ওই এলাকার রফিক।

প্রায় তিন মাস আগে এ বিরোধের জেরে আমার ভাগিনার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করে রফিক, সান্টু ও রাসেল সহ বেশ কয়েকজন। এছাড়া এসময় আমার বোন, ভাগিনা এবং আমার বোন জামাইকে মারধর করা হয়।

পরে এঘটনায় আমার ভাগিনার স্ত্রী বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে তাদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আমাকে স্বাক্ষী করা হয়। পরে তারা আমার কাছে বেশ কয়েকবার চাঁদা দাবি করেন।

আমি চাঁদা দিতে না পারায় এবং এ মামলায় স্বাক্ষী হওয়ার কারনে রফিকের নেতৃত্বে সান্টু, রাসেল, আলআমিন ও আবদুল হক ঘরামী আমাকে মারধর করেন। তিনি আরও বলেন, রাতে আমার পাখিমারা বাজারের মৎস্য আড়ৎ বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম।

আমি বাড়ির দরজায় পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তারা আমাকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং বগি দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এসময় আমি অজ্ঞান হয় পড়লে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মারধরের সময় আমার সঙ্গে থাকা ১ লাখ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়।এবিষয়ে জানতে রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তিনি রবিবার এলাকায় ছিলেন না বলেন জানান। কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, এঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।

মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া

১৪/০৪/২০২৫

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD